Summary
১. অপত্য ক্রোমোজোমগুলো উভয় মেরুতে পৌঁছায় এবং নিউক্লিয়ার পর্দা ও নিউক্লিওলাস পুনঃ আবির্ভাব ঘটে। প্রাণিকোষে সেন্ট্রিওল তৈরি হয়।
২. ক্রোমোজোমগুলো লম্বা হয় ও জট পাকিয়ে নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম গঠন করে, ফলে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠন হয় এবং ক্যারিওকাইনেসিস শেষ হয়।
৩. নিউক্লিয়াস বিভাজনের সাথে সাথে সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। টেলোফেজে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার অংশগুলো মিলিত হয়ে কোষপ্লেট গঠন করে, যা পরে কোষপ্রাচীর সৃষ্টি করে এবং একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অপত্য কোষ তৈরি হয়।
৪. প্রাণিকোষে কোষপর্দার খাঁজ সৃষ্টি হয়, যা মিলিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ গঠন করে। উদ্ভিদ কোষে কোষ প্লেট গঠিত হয় এবং প্রাণিকোষে ক্লিভেজ পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস ঘটে।
১. অপত্য ক্রোমোজোমগুলো বিপরীত মেরুতে এসে পৌঁছায়।
২. এরপর উভয় মেরুর ক্রোমোজোমগুলোকে ঘিরে নিউক্লিয়ার পর্দা এবং নিউক্লিওলাসের পুনঃ আবির্ভাব ঘটে। প্রাণিকোষে উভয় মেরুতে একটি করে সেন্ট্রিওল সৃষ্টি হয়।
৩. এ অবস্থায় ক্রোমোজোমগুলো ও লম্বা আকার ধারণ করে পরস্পরের সাথে জট পাকিয়ে নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম গঠন করে। এভাবে কোবের দুই মেরুতে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয় এবং ক্যারিওকাইনেসিসের সমাপ্তি ঘটে।
সাইটোকাইনেসিস
নিউক্লিয়াসের বিভাজন শেষ হওয়ার সাথে সাথে সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। প্রকৃতপক্ষে টেলোফেজ দশাতেই সাইটোকাইনেসিস শুরু হয়। টেলোফেজ ধাপের শেষে বিষুবীয় তলে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশগুলো জমা হয় এবং পরে এরা মিলিত হয়ে কোষপ্লেট গঠন করে। কোষপ্লেট পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়ে কোষপ্রাচীর গঠন করে। ফলে একটি মাতৃকোষ থেকে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়।
প্রাণিকোষের ক্ষেত্রে নিউক্লিয়াসের বিভাজনের সাথে সাথে কোষের মাঝামাঝি অংশে কোষপর্দার উভয় পাশ থেকে দুটি খাঁজ সৃষ্টি হয়। কোষপর্দার এ খাঁজ ক্রমশ ভিতরের দিকে গিয়ে নিরক্ষীয় তল বরাবরে বিস্তৃত হয় এবং মিলিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে। তাহলে আমরা জানতে পারলাম উদ্ভিদ কোষের কোষ প্লেট গঠিত হয় এবং প্রাণিকোষে ক্লিভেজ বা ফারোয়িং পদ্ধতিতে সাইটোকাইনেসিস ঘটে।
Read more